Blog
PCOS এ আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও,জরায়ু টক্সিন মুক্ত রাখতে ডিটক্স ড্রিংক এর পাশাপাশি যে বিষয় গুলো মেনে চলা উচিত

PCOS এ আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও,জরায়ু টক্সিন মুক্ত রাখতে ডিটক্স ড্রিংক এর পাশাপাশি যে বিষয় গুলো মেনে চলা উচিত ।
PCOS – দেশে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে একজন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে (PCOS) আক্রান্ত। এটি একটি হরমোনাল সমস্যা যা শুধুমাত্র জরায়ু নয়, বরং সারা শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া এবং প্রজনন ক্ষমতায় বিশেষ প্রভাব ফেলে।
পিসিওএস হলে একজন নারীর শরীরে অ্যান্ড্রোজেন বা (পুরুষ হরমোন)-এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ওভুলেশন বাধাগ্রস্ত হয়, এবং সময়ের সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে,এছাড়াও অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত ব্রণ, অনেক চুল পড়া, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সসহ আরও নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।Learn More..
এই PCOS বা হরমোন ভারসাম্যহীনতার মূল কারণ গুলো হচ্ছে
- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
- অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমা বিশেষ করে পেটের চারপাশে জমে যাওয়া
- মানসিক চাপের কারণে লেপ্টিন ও করটিসল হরমোনের ভারসাম্য হারানো
- পরিবেশগত টক্সিন বৃদ্ধি পাওয়ায়
- অনিয়মিত ঘুম এবং অনিয়মিত জীবনযাপন

Detox Drinks for PCOS
ঘরে তৈরি বিভিন্ন ডিটক্স ড্রিংকঃ
-
মেথি পানীয় – রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে
-
দারচিনি ও হলুদ ডিটক্স ড্রিংক – ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়, শরীর ভিতর থেকে টক্সিন দূর করে দেয়।
-
অ্যাপল সিডার ভিনেগার: রক্তে সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,অতিরিক্ত চর্বি কমায়।
-
জিরা,জোয়ান,আদা, খাঁটি ঘি এর পরিমিত পরিমানে মিশ্রিত পানীয়
ডিটক্স ড্রিঙ্কস এর পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলাঃ
সুষম খাদ্য এবং পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা পিসিওএস এর বিরুদ্ধে প্রথম লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে কাজ করে । যেমনঃ
- লো-গ্লাইসেমিক খাবার: যে খাবার গুলো রক্তে চিনি দ্রুত বাড়তে দেয় না। যেমন ওটস, ব্রাউন রাইস, শাকসবজি, বাদাম , কাকাও পাওডার ইত্যাদি ।
- অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ফুডস: হলুদ, আদা, বেসিল, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, বেরি জাতীয় ফল, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ
- ডায়েটারি ফাইবার: ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার বাদ দেয়া ।

Healthy diet for PCOS Control
নিয়মিত ব্যায়াম :
- সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মডারেট ইনটেনসিটির অ্যারোবিক ব্যায়াম।
- মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এমন ব্যায়াম ।
ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ :
- প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমানোর চেষ্টা করা ।
- মেডিটেশন, ধ্যান বা প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো এতে মানসিক চাপ কমে ।
পিসিওএস একটি জটিল সমস্যায় পরিনত হতে পারে, যার জন্য প্রয়োজন সামগ্রিক জীবন যাপন এর মাঝে পরিবর্তন নিয়ে আসা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, মানসিক প্রশান্তি এবং অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা ।